November 23, 2024, 8:16 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
বানারীপাড়ায় বিশারকান্দিতে ৫০ বছর ধরে ভাসমান সবজি চাষে সফল চাষীরা

বানারীপাড়ায় বিশারকান্দিতে ৫০ বছর ধরে ভাসমান সবজি চাষে সফল চাষীরা

আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিশারকান্দি ইউনিয়নে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ভাসমান সবজি চাষ করে এখানকার কৃষকরা সফলভাবে লাভবান হয়েছে। বানারীপাড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল বিশারকান্দি ইউনিয়ন ভাসমান সবজি চাষের কারণে বহুল আলোচিত। এ ইউনিয়নের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিপণ্য ও ভাসমান সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
বাংলাদেশের অনেক জেলার দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা-ব্যবসায়ীরা সবজি ও সবজির চারা কিনতে আসেন। বানারীপাড়া উপজেলার পাশাপাশি ঢাকা-চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, গলাচিপা,ঝালকাঠি, উজিরপুর, বিভিন্ন স্থান থেকে এই সবজি কেনার জন্য ব্যবসায়ীরা আসেন। এখান থেকে পাইকারি মূল্যে সবজিচারা ও সবজি কিনে থাকেন বিভিন্ন ব্যাবসায়ীরা। এখানে বিভিন্ন ধরনের চারা লাউ,করল্লা ,মিষ্টি কুমড়া,সিম,ঢেঁড়স, পেঁপে, বরবটি, কাঁচা মরিচ, টমেটো ইত্যাদি উৎপাদন করা হয়। ভাসমান সবজি চাষ করার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে সিজনে কচুরিপানা ধরে রেখে মেদা বানাতে হয়। এ ছাড়া খরকুটো, পাটকাঠি, বাঁশের কঞ্চি ও জৈব সার দ্বারা সবজি চাষ করা হয়। সবজি বিলে ও খালে, পুকুরেও মেদা বেঁধে চাষ করা হয়। চাষিদের দেখে এই অঞ্চলের শিক্ষিত বেকার যুবকদের পাশাপাশি নানা শ্রেণী পেশার
পেশাজীবীরা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা অবসর সময়ে ভাসমান সবজি চাষে সম্পৃক্ত হয়েছেন। বিশারকান্দি বটতলা বাজার এলাকার কৃষক সামছুল হক হাওলাদার জানান, ভাসমান সবজিচারা ও সবজি উৎপাদন করে আমার বছরে কয়েক লাখ টাকা লাভবান হয়েছে । উমারের পাড়ের কৃষক এমরান হোসেন বলেন,আমার প্রধান জীবিকা নির্বাহের কাজই হলো কৃষি। এই সবজি চাষ করে পরিবার-পরিজন পিতা মাতার ভরণপোষণ ও সন্তানদের লেখাপড়া খুব ভালোভাবেই চলে যাচ্ছে। পদ্মবুনিয়া গ্রামের কৃষক আসলাম জানান ভাসমান সবজি চাষের সাথে আমার বাপ দাদা থেকে শুরু করে আমি ও বর্তমানে চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছি। বিশারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, ‘ভাসমান সবজি চাষ এই ইউনিয়নের একটি পুরনো ঐতিহ্য। যা বর্তমানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ ইউনিয়নে প্রায় ২০০০ পরিবারের ও বেশি ভাসমান সবজির ওপর নির্ভরশীল হয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। সিজনালি ৫ হাজারের বেশি চাষি সরাসরি এ কাজে যুক্ত। এ সবজি দেশ-বিদেশে রপ্তানি করে কৃষকরা লাভবান হবে। এছাড়া তিনি আরো বলেন,আমি জনগণের সেবকের পাশাপাশি আমিও এই সবজি চাষে যুক্ত আছি। বানারীপাড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান মুঠো ফোনে জানান,বিশারকান্দি ইউনিয়নের ভাসমান সবজিচারা ও সবজি উৎপাদন করে এই এলাকা বেশ আলোচিত হয়েছে। এই ইউনিয়নের কৃষকদের আমরা বিভিন্ন সহায়তা ঔষধ ও সার বিতরণ পোকামাকড় প্রতিরোধে পরামর্শ ও প্রদর্শন করে থাকি। এছাড়াও আমাদের একটি ভাসমান বেড সবজির প্রকল্প রয়েছে তা থেকে ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা আমরা করে থাকি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD